Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

success stories

বিজয়গাঁথা-১

 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকরের জনস্বাস্থ্য ও পরিবারপরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সম্পৃক্তাতায় এবং কেয়ার বাংলাদেশ এর অর্থায়নে পরিচালিত জি.এস.কে.প্রকল্প।

সুনামগঞ্জ জেলার প্রতিটি উপজেলায় মাতৃ ও শিশু মৃত্যু রোধে এবং মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়নে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারের সহযোগিতায় প্রাইভেট সি এস বি এ ( কমিউনিটি সিকল্ড বার্থ এটেন্ডেন্ট)  এর মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রামীন অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত মহিলাদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছন। শাল্লা উপজেলার আটগাওঁ এবং শাল্লা ইউনিয়নে বর্তমানে দুইজন পশিক্ষণ প্রাপ্ত পি.সি.এস.বিএ. দ্বারা এ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। তারা দুজন হলেন (১) চম্পা রানী সরকার এবং (২) রাজিয়া সুলতানা।

আমরা এ পর্যায়ে এই দুই জন পি সি এস বিএ সর্ম্পকে জানব। যারা জীবনের বিভিন্ন প্রতিকুলতা অতিক্রম করে নিজেদেরকে জনসেবায় নিয়োজিত করেছেন এবং খুজেঁ নিয়েছেন নিজেদের উপার্জনের উৎস।

 

চম্পা রানী সরকার

স্বামীর নামঃ সুরঞ্জিত সরকার

গ্রামঃ মামুদনগর

ইউপিঃ আটগাওঁ

শাল্লা, সুনামগঞ্জ।

 

মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা চম্পা রানী সরকার ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখত ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু নবম শ্রেনীতে পড়াকালীন তিনি বাল্যবিবাহের শিকার হন। ফলে সেই স্বপ্নের দিকে আর এগিয়ে যেতে পারেনি। কৈশোরের স্বপ্ন বিলাসী মন বন্দী হল সংসারে। মোটামোটি স্বচ্ছল স্বামীর সংসারে থেকেও চম্পা নিজে কাজ করে উপার্জনের স্বপ্ন দেখতেন। তখনি ২০১৩ সালে এক মহিলা ইউপি সদস্যের কাছ থেকে কেয়ার জিএসকে এর নিয়মানুযায়ী আবেদনপত্র জমা দিয়ে লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষায় ই উর্ত্তীন হয়েছিলেন।

কিন্তু তিনি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারেননি কারন তিনি দ্বিতীয় বারের মত গভর্বতী ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে ২০১৪ সালে পুনরায় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছিলেন। নিভে যাওয়া স্বপ্ন আলো হয়ে জ্বলে ওঠেছিল চম্পা রানীর জীবনে। তারপর ২০১৪ সাল থেকে আটগাওঁ ইউনিয়নের চিকিৎসা বঞ্চিত গভবর্তী নারী ও শিশুদের সেবা করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত তিনি ৫০০ এর বেশী মায়ের প্রসব করিয়েছেন।এই সেবার বিনিময়ে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত ফি গ্রহণ করতেন। এছাড়া তিনি নিজের পরিকল্পনায় বাড়িতেই নির্মাণ করেছেন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং ফার্মেসী। যার মাধ্যমে তিনি মহিলাদের আগের চেয়ে ভালো স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেছেন। তার এই কমর্জীবনে চলতে গিয়ে সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক সহযোগিতা পেয়েছেন যা তার কাজকে অনেক গতিশীল করেছে। ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, আমার এ কাজে আমি ডাক্তারি জীবন খুজে পেয়েছি। আজীবন এভাবেই মানুষের সেবা করে যেতে চাই।

 

 রাজিয়া সুলতানা

স্বামীঃ আব্দুল কুদ্দুস

গ্রামঃ সিমের কান্দা

ইউনিয়নঃ শাল্লা

শাল্রা, সুনামগঞ্জ।

 

শাল্লা উপজেলার দুর্গম পরিবেশে পিছিয়ে পড়া আরেক নারী সুলতানা(৩৪)। চারজন ছেলেমেয়ে নিয়ে কৃষক স্বামীর সংসারে অভাব অনটন ছিল নিত্যসঙ্গী। পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য ২০১৪ সালে পি সি এস বি এর প্রশিক্ষণ নিয়ে কমর্জীবন শুরু করেছিলেন। এই উপজেলাতে যেমন আছে দরিদ্রতা, তেমনি যোগাযোগের প্রতিকুলতা। ফলে কোনো সুবিধাই করে ওঠতে পারেননি। সেবা দিতে গিয়ে নিজের আয়ের চেয়ে যাতায়াত ব্যয় বেশী হয়ে যেত। ফলে নিজের আগ্রহ হারিয়ে পিছিয়ে পড়া পি সি এস বি এ দের একজন হয়েছিলেন। এরপর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যে পদের নির্বাচনে অংশ নিয়ে সেখানেও পরাজিত হয়েছেন। পরবর্তী ২০১৭ সালে শুরুতে বন্যায় জমির সব ফসল ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তখন তিনি আরও ভেঙ্গে পড়েছিলেন। এত হতাশার অবসান ঘটিয়ে স্বপ্ন দেখলেন পূর্বের পেশায় ফিরে যাওয়ার। দেখা গেল গ্রামের মানুষগুলো তাদের নিত্য রোগবালাই যেমন সর্দি, কাশি,জ্বর, ডায়রিয়া, আমাশয়, অপুষ্টি এর ঔষধগুলো আনার জন্য বাজারে যেতে চাইত না। এর কারন ছিল অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। তখনি তিনি তার স্বামীর সহযোগীতায় সঞ্চয়ের ৫০০০ টাকা দিয়ে ঔষধের দোকান তৈরী করেন। মহিলারা উনার কাছ থেকে জন্মনিয়ন্ত্রনের পিল ও নানা পরামর্শ নিতেন। তিনি বড়ি বাড়ি গিয়ে এসব ঔষধ বিক্রি করতেন। তিনি প্রতিমাসে ২০-২৫ টি গভবর্তী মাকে রেজিষ্ট্রশনের মাধ্যমে সেবা দিয়েছেন। এই কজের জন্য তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য কর্মীদের সাথে সুসর্ম্পক গড়ে তুলেন। নিভৃত পল্লীর সুবিধাবঞ্চিত মানুষজনকে সেবা দিতে পারায় নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করেন।

 

শাল্লার মত এমন দুর্গম এলাকায় থেকেও এই দুইজন পি সি এস বি এ প্রতিনিয়ত মানুষজনকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের এই প্রচেষ্টা শুধু নিজেদের উপার্জন এবং সেবার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং তারা প্রত্যেক পিছিয়ে পড়া ও অবহেলিত মহিলাদের অনুপ্রেরনা হিসেবে কাজ করবে। তাদের দেখে এগিয়ে আসবে আরও অনেক সুলতানা এবং চম্পা রানী। এগিয়ে যাক নারী সমাজ, উন্নত হোক দেশ। 

বিজয়গাঁথা-২

                   “সফল কৃষি উদ্ধোক্তা বিকাশ  রঞ্জন চক্রবর্তী এর জীবনবৃত্তান্ত”

কাঙ্খিত উদ্দেশ্যে :-  যে কোন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে অংশ গ্রহনে ইচ্ছুক । সামাজিক উন্নয়ন মূলক যে কোন কাজে অর্পিত দায়িত্ব সফল ভাবে সম্পন্ন করার সামর্থ্য আছে বলে আমি মনে করি।

অভিজ্ঞতা:-বেতনভুক্ত চাকুরী জীবন- ব্র্যাক (০৭/১১/১৯৯৭ ইং হইতে ১০/১১/২০০০ ইং পর‌্যন্ত কর্মরত ছিলেন।  

   এনজিও ফোরাম:- (সোসাইল মোবিলেশন প্রোগাম)

 ২০/১১/২০০০  ইং হইতে ২১/১২/২০০২ ইং পযন্ত। ই,পি,আই (সুপার ভাইজার) মৌলভী বাজার পৌর সভা এলাকা  । ১০/০১/২০০৩ ইং হইতে ২৮/১২/২০০৫ ইং পযন্ত ।

 সেচ্ছাসেবক হিসাবে সরাসরি অংশ গ্রহন মূলক কর্ম জীবন:- ইন্টার কো অপারেশন (সুইচ এজেন্সি ফর ডেভোলপমেন্ট )

প্রকল্পের নাম:- অতি-দারিদ্রের দারিদ্রতা বিমোচন প্রকল্প ।

কাজের ধরন:- কৃষক কৃষানিদের মধ্যে দল গঠন করে তাদের পতীত জায়গায় সবজীর আবাদ করানো।

কর্ম এলাকা:- সমগ্র শাল্লা উপজেলা

সময়:- ২/২/২০০৮ ইং হইতে ১৮/১২/২০১০ ইং পর্যন্ত কেয়ার বাংলাদেশ (ইসপ্লে প্রোগাম)

কাজের ধরন:- গরীব ঝড়ে পড়া কিশোর/কিশোরীদের কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি ও স্বাভলম্বী করতে জায়গায় সবজী উৎপাদনের হাতে কলম শিক্ষা।

কর্ম এলাকা:- সুনামগঞ্জ জেলা ০৮ টি উপজেলা । শাল্লা,দিরাই,দক্ষিন সুনামগঞ্জ,দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর,জামালগঞ্জ,জগন্নাথপুর, (১০/০১/১১ ইং হইতে ২৮/১২/২০১৩ ইং পযন্ত)

ইরা (সমৃদ্ধি প্রকাশ)

প্রকল্পের নাম:- দারিদ্র বিমোচন প্রকল্প

কর্ম এলাকা:- সমগ্র উপজেলা শাল্লা

শাল্লা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গরীব/কৃষাণ কৃষানীদের মাঝে দল গঠন করে সবজী চাষে উদ্ভোদ করণ ও চাষাবাদ করন। (০৩/০১/২০১৪ ইং হইতে ০২/০৫/১৫ ইং পযন্ত।

ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ:-

গরীব/কৃষাণ কৃষানীদের মাঝে দল গঠন করে সবজী চাষের ট্রেনিং করানো ও জলবায়ু সহনশীল জাত নির্মাণ করন ।। (২০/১২/১৬ ইং হইতে ২/১/২০১৮ ইং পযন্ত)

লজিক প্রোগাম:-

 সুনামগঞ্জ ডিসি অফিস,, সহযোগিতায় :-ইউ,এন,ডি,পি

কর্ম এলাকা:- সুনামগঞ্জ জেলার ৪ টি উপজেলা। সমগ্র শাল্লা উপজেলা। দিরাই উপজেলায় ০৪ টি ইউনিয়ন । জামালগঞ্জ উপজেলার ৪ টি ইউনিয়ন। তাহিরপুর উপজেলার ৪ টি ইউনিয়ন। (১২/০২/১৮ ইং হতে ০৬/০৮/২০১৯ ইং পর্যন্ত।

ট্রেনিং গ্রহন :- সবজী চাষের উপর

ব্র্যাক কর্তৃক ৬ মাস, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ

কেয়ার বাংলাদেশ কর্তৃক:- ১ মাস, ঢাকা,মিরপুর ।

শাল্লা উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক:- ৭ দিন করে ৩ বার মোট ২১ দিন।

ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ কর্তৃক :- ১ মাস শ্যামলীর আধাবর,ঢাকা।

লক্ষ  উদ্দেশ্যে “- এলাকার উন্নয়ন,বেকারত্ব দুর করণ। এলাকার সবজী চাষাবাদের জাগরণ তৈরী করণ। পুষ্টির চাহিদা পূরণ ।।মানুষের মাঝে বিসস্থতা তৈরী করণ।

পুরুষ্কার গ্রহন:- সরকারী বেসকারী মোট ১৮ টি।

চলমান কাজ:-  ২০০৫ হইতে বর্তমান পর্যন্ত চলমান , (সবজী চাষ)

হাওর স্বপ্ন রিসোর্স সেন্টার :-

স্থান:- আনন্দপুর বাজার,আনন্দপুর,ইউনিয়ন-হবিবপুর,শাল্লা,সুনামগঞ্জ । ২০১৫ সাল হতে চলমান।

কাজের ধরণ:-

১।  প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান

২। কৃষির বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের পরামর্শ প্রদান ।

৩। বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে সচেতনতা বৃদ্ধি মূলক উঠান বৈঠক ।

৪। বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করে বয়স সন্ধি কাল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া।

৫। ঝড়েপড়া শিক্ষার্থীদের পূর্ণরায় স্কুলে ভর্তি ।

৬।  বেকারযুব সমাজকে সবজি চাষে আগ্রহী সৃষ্টি করা।

৭। কৃষানীদের একই বাড়ীতে ১২ রকম সবজী চাষে উদ্ভোধ করণ।

 যোগাযোগঃ-

ঠিকানাঃ- আনন্দপুর ডাকঃ- আনন্দপুর  ইউনিয়ন-হবিবপুর,উপজেলা-শাল্লা,জেলা-সুনামগঞ্জ ।

মোবাইল নং-০১৭১৩-৮২১৮১০

ব্যক্তিগত তথ্যাবলী:-  

    নামঃ- বিকাশ রঞ্জন চক্রবর্তী,পিতা-মৃত উমেশ চন্দ্র চক্রবর্ত্তী,মাতা-রেনু বালা চক্রবর্ত্তী

    জন্ম তারিখঃ- ৩১-১২/১৯৭৩ ইং,রক্তের গ্রুপ:- ০ (-),জাতী-হিন্দু,জাতীয়তা-বাংলাদেশী

    শিক্ষাগত যোগ্যতা:-

   এস.এস.সি. ১৯৯৪ ইং ২য় বিভাগ কুমিল্লা বোর্ড

   এইচ.এস.সি ১৯৯৭ ইং ২য় বিভাগ কুমিল্লা বোর্ড

   বি.এ. ২০০১ ইং স্থগিত জাতির বিশ্ববিদ্যালয়